ভার্ড এর নিজস্ব কিছু মূল্যবোধ রয়েছে যা সংস্থার আভ্যন্তরীণ অনুকূল পরিবেশ তৈরীতে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এবং নির্দিষ্ট মিশন অর্জনে অবদান রাখছে।
০১. কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের পরস্পরের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধাবোধ থাকবে।
০২. কর্মরত সকল কর্মীদের পারফরমেন্স এর উপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করবে।
০৩. অভিজ্ঞতা, মতামত এবং তথ্যাবলীর খোলাখেলা আলোচনা হবে যাতে করে প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সঠিক ভিত্তি তৈরী হয় ।
০৪. অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ায় এবং পারষ্পারিক সহযোগিতার নীতি দ্বারা ব্যাক্তি আচরণ পরিচালিত হবে ।
০৫. প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-কানুন সকলের জন্য সমান।
০৬. নিজ উদ্যোগ ও দায়িত্বশীলতাবোধকে ভার্ড উৎসাহ প্রদান করে ।
০৭. আত্মসমালোচনা ও সততা কর্মী আচরণের মূল ভিত্তি ।
০৮. একটি স্থায়ীত্বশীল প্রতিষ্ঠান গড়ার লক্ষ্যে কর্মীগণ প্রতিষ্ঠানের সম্পদ সাশ্রয়ীভাবে বিচক্ষণতার সাথে ব্যবহার করবে।
০৯. কর্মীগন প্রতিষ্ঠানের বিষয়াবলীকে একান্তই আভ্যন্তরীণ মনে করবে এবং কর্মক্ষেত্র ও কর্মক্ষেত্রের বাহিরে জেন্ডার সংবেদনশীল আচরণে সচেষ্ট থাকবে ।
১০. সংস্থার কার্যক্রম পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন এবং মূল্যায়নের ক্ষেত্রে অংশীজনের চাহিদা, স্থানীয় স¤পদের সমাবেশ, এবং তাদের সহযোগিতার বিবেচিত হবে ।
ক) অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে অনগ্রসর জনগোষ্ঠি বিশেষকরে নারীদেরকে আত্মনির্ভরশীল ও ক্ষমতায়নের জন্য সংগঠিত করা।
খ) গ্রামীন জনগোষ্ঠির সঞ্চয়ী মনোভাব ও প্রতিষ্ঠান তৈরীতে সামর্থ্য বৃদ্ধি করা এবং তাদের দারিদ্র্যতা দূরীকরণে সামগ্রিক প্রচেষ্টা নেওয়া এবং কর্মসংস্থান তৈরী করা।
গ) সমাজে জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠা এবং নারীর ক্ষমতায়ন ।
ঘ) শিশু, কিশোর-কিশোরী এবং বয়®কদের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমাজ থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণ।
ঙ) কমিউনিটি এবং ক্লিনিক ভিত্তিক স্বাস্থ্য সেবা, শিশু স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেবা প্রদান করা এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য শিক্ষা, পুষ্টি, স্বাস্থ্য সম্মত পয়নিষ্কাসন, এবং নিরাপদ খাবার পানি উপর সচেতনতা বৃদ্ধি করা। ঝঞওং, জঞওং, ঐওঠ/অওউঝ এবং অন্যান্য ছোঁয়াচে রোগ প্রতিকার/নিয়ন্ত্রণ করা।
চ) স্থায়ীত্বশীল উপায়ে নিবিড় চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং সামাজিক পূনর্বাসন।
ছ) পরিবেশ বান্ধব এবং ¯হায়িত্বশীল কৃষি, সামাজিক বনায়ন, মৎস ও পশুসম্পদ উন্নয়ন করা।
জ) নিজস্ব সম্পদ সৃষ্টি মাধ্যম্যে আয় বৃদ্ধি করে প্রাতিষ্ঠানিক স্থায়ীত্বশীলতা অর্জন ।
ঝ) ভার্ডের নেতৃত্বে তৃণমূল পর্যায়ে কর্মরত সিবিও/এনজিও এবং অন্যান্য কমিউনিটি ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানকে একত্রিত করে নেটওয়ার্ক তৈরী করা যাতে করে প্রতিষ্ঠানের সামর্থ্য বৃদ্ধি হয় এবং স্থানীয় সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত হয়।